Ad Code

অনুসন্ধান

6/recent/ticker-posts

হাতের মুঠোয় যৌনদাসী


                        হাতের মুঠোয় যৌনদাসী

     ব্লু ফ্লিম দেখে দেখেই অবাধ যৌনকর্মের দিকে ধাবিত হয়েছিলেন মুন্না ভাই। একইভাবে অকল্পনীয় বিকৃত এই যৌনাচার বেছে নেন মৌরীগ্রামের পল্লব। মুন্নার বিকৃত যৌনাচারের বিষয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছিল দেশব্যাপী। হতভম্ব হয়েছেন সাধারণ মানুষ, এই ভেবে যে মৃত নারীদের লাশের সঙ্গে কীভাবে যৌনাচার করা সম্ভব!

    মুন্নার পর একই কাণ্ডে গ্রেপ্তার করা হয়েছে মৌরীগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রহরি পল্লবকে। পল্লব অস্থায়ী ভিত্তিতে মৌরীগ্রাম হাসপাতালের মর্গে পাহারাদার হিসেবে কাজ করতেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যৌন শিক্ষার অভাব ও মানসিক রোগের কারণেই এমনটি ঘটছে। এই বিকৃত যৌনাচার থেকে লাশের সুরক্ষার অভাব রয়েছে বলে মনে করেন তারা।

 মৌরীগ্রামের হাসপাতালে লাশের সঙ্গে বিকৃত যৌনাচার সম্পর্কে সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের শুরুতে ঘটে ঘটনাটি। সিআইডির ডিএনএ ল্যাবে মৃত দুই নারী লাশের মধ্যে পুরুষের শুক্রাণুর প্রমাণ পাওয়া যায়। তার আগে মৌরীগ্রামের মর্গে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ১২ বছরের এক কিশোরীর লাশে এবং এপ্রিল মাসে আরেক নারীর লাশে এইচভিএস (হাইভ্যাজাইনাল সোয়াব) পান ময়না তদন্তকারী চিকিৎসকরা।

    পরবর্তীতে নমুনা সংগ্রহ করে সিআইডির ল্যাবে পাঠানো হয়। দুই নারীর লাশে একই পুরুষের শুক্রাণুর প্রমাণ পাওয়ার পরই তদন্তে নামে সিআইডি। ২৮ ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তার করা হয় পল্লবকে। পুলিশের রিমান্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন তিনি।

    নেক্রোফিলিয়া একটি অন্যতম প্রাচীন যোনব্যাধি বা বিকৃত যৌনাচার। এতে মানুষ মৃত নারী অথবা পুরুষের সাথে যৌন সঙ্গম করেন। এক্ষেত্রে বেশির ভাগ হয় পুরুষ রোগী। আর লক্ষ হয় নানা বয়সের নারী মৃতদেহ। নেক্রোফিলিয়া শব্দটা এসেছে গ্রীক শব্দ নেক্রো (nekros) অর্থাৎ মৃত এবং ফিলিয়া(philia) মানে প্রেম। অর্থাৎ মৃতদেহের সাথে ভালোবাসা। 

        নেক্রোফিলিয়া মূলত তিন ধরনের

১) নেক্রোফিলিক হত্যাঃ  এক্ষেত্রে যৌন সঙ্গমের উদ্দেশ্যে রোগী ভিক্টিমকে হত্যা করে।
২) রেগুলার নেক্রোফিলিয়াঃ  এক্ষত্রে ব্যাক্তি মৃত মানুষের সাথে সঙ্গমে লিপ্ত হন।
৩) নেক্রোফিলিক ফ্যান্টাসিঃ এটা ঠিক অপরাধ নয়, এতে করে মানুষ কল্পনায় মৃত ভালোবাসার মানুষের সাথে সঙ্গমে লিপ্ত হয়।





Reactions

Post a Comment

0 Comments